ঢাকা: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও শক্ত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এদিকে, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররাও বলেছেন, আইন-বিধি প্রয়োগে কঠোর থাকবেন তারা, এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। কোনো চাপের কাছে নত জানু হবে না ইসি।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ছয়টি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে।
এতে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী অতীতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘অনেক আশা ভরসা ছিল, ইসির উপর সারা জাতির আস্থা থাকে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, অতীতে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষ ছিলেন হয়ত, তাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা পাইনি। তাদের সঙ্গে অদৃশ্য শক্তি ছিল।’
গণভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান প্যাকেজে হ্যাঁ, না ভোট হলে এটা অকার্যকর হয়ে যাবে। দুটোতে হ্যাঁ, দুটোতে না এর সুযোগ নেই। সবটার মধ্যে হ্যাঁ অথবা না তে নিয়ে যাচ্ছে। দল, সরকার ও ইসির ভূমিকা রয়েছে। শেষ পযন্ত গণভোট যেন হাস্যকরে পরিণত না হয় আপনাদের হাত দিয়ে। এ বিষয়ে আপনাদের শক্ত থাকতে হবে।’
ভালো ভোটের বিষয়ে দলগুলোর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন গণফোরাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
গণফ্রন্টের মহাসচিব আহমদ আলী শেখ বলেন, ‘আজ অবদি ইসি অবিচারের শিকার হয়েছে। অবিচারগ্রস্ত ইসির অধীনে আমরা যারা নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থা নিঃসন্দেহে শোচনীয়। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ইসির সক্ষমতা যা দরকার তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ এন এম সিরাজুল ইসলাম জানান, আগামী নির্বাচন ভালো করার জন্য ইসির আন্তরিকতা রয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বিভাগওয়ারি ভোট নেওয়া, জামানত কমানো, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার সুপারিশ করেন তিনি।
জোট করলেও স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান চালু করায় মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শঙ্কিত যে, জারি করা বিধিমালা রাখতে পারবেন কিনা। আশা করি, অতীতের শিক্ষা থেকে কারো কাছে নতজানু হবেন না। শপথ নিয়েছেন। আপনাদের ঘাড়ে জাতির দায়িত্ব, কারো চাপে দায়িত্ব পালন যদি না করতে পারেন তাহলে উত্তম পথ আছে, সে পথ নেবেন। কিন্তু নতজানু হবেন না।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে তিনটি নির্বাচন হয়, সবটিই বিতর্কিত। ভোট নিয়ে আস্থা সঙ্কট তৈরি হয়। গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা সঙ্কটাপন্ন।’ সারাদেশে একই দিনে নির্বাচন না করে চার ধাপে আয়োজন করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নিয়ে কালো টাকা রোধে ইসির দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইসিকে নতজানু না হয়ে শক্ত ভূমিকা রাখার আহ্বান রাজনৈতিক দলগুলোর
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩১
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩১
সারাবাংলা/এনএল/এনজে