ঢাকা: পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় দেশের পাটকেন্দ্রিক শিল্প, সংস্কৃতি, পর্যটন ও উদ্ভাবনকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। পরিবেশবান্ধব ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য নতুন নতুন পাটপণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি আধুনিক গৃহ ও কর্মস্থলে পাটের নান্দনিক প্রয়োগ বাড়াতে হবে। ডেকোরেটিভ আর্টসেও পাটের সৃজনশীল উপস্থাপনা বাড়ানো সময়ের দাবি। পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান, অর্থনীতি ও স্থানীয় শিল্পের বিকাশে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সোমবার(১৭ নভেম্বর) রাজধানীর অ্যালায়েন্স ফ্রাঁসেজ দে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী (১৭–১৯ নভেম্বর) ‘দ্য সোল অব জুট: ক্রাফট, কালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক পাটপণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কৃষকদের পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করা এবং পাটপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে। পাটচাষিদের প্রণোদনা দিতে হবে এবং পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে পরিবেশ ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। সুইজারল্যান্ডসহ উন্নত দেশের শপিং মলে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে, অথচ দেশে এখনো পাটের ব্যাগের প্রচলন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। পলিথিন বর্জন করে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধিতে ভোক্তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। পাটপণ্য পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক; পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উদ্যোক্তাদের পাটপণ্য প্রসারে আরও উদ্যমী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব বিলকিস জাহান রিমি, জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেপিডিসি)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. জাহিদ হোসেন, ঢাকাস্থ অ্যালায়েন্স ফ্রাঁসেজ দে’র পরিচালক ফ্রাঁসোয়া শমব্রো এবং বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, অ্যালায়েন্স ফ্রাঁসেজ দে ঢাকা, ২৬ মিরপুর রোড, ধানমন্ডিতে আয়োজিত এ প্রদর্শনী ১৭–১৯ নভেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।