ঢাকা: কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার ১০ শর্তের মধ্যে কয়েকটিতে সরকার শক্ত আপত্তি জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টা শর্ত দিয়েছে, কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে মালেশিয়াকে জানিয়েছি যে এসব শর্ত মিটআপ করা সম্ভব না। কারণ এগুলো মিটআপ করতে গেলে এখানে আবার সিন্ডিকেট হবে। অল্প কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। এটি আমরা চাই না।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নিরাপদ অভিবাসন এবং ন্যায্য নিয়োগের লক্ষ্যে ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ওইপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। এই প্ল্যাটফর্ম বিদেশে কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন ও শ্রমবাজার সম্পর্কিত তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও স্বচ্ছ ও সহজ করতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. ডেইপাক এলমার এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ম্যাক্স টুনন। সভাপতিত্ব করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, শ্রমবাজার যত বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত থাকবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ততই নিশ্চিত হবে। মালয়েশিয়া আশ্বাস দিয়েছে, তারা শর্তগুলো শিথিল করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
শর্তগুলো গ্রহণযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং কার্যকর অভিবাসনের জন্য এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দেশের জন্য তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাদের এই যাত্রা নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং সম্মানজনক করার দায়িত্ব আমাদের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই প্ল্যাটফর্মে আরও নতুন ফিচার যুক্ত করতে পারব, যা শ্রমিক, নিয়োগকর্তা ও সরকার, সব পক্ষের জন্যই কাজে আসবে।
পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ন্যায্য ও স্বচ্ছ নিয়োগব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে গন্তব্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ওইপি গন্তব্যদেশসমূহের কাছে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।