কুমিল্লা: টিকটকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীর ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ, সেগুলো বিকৃত করে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ে জড়িত থাকা সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান মো. আব্বাস (৩৮)-কে গ্রেফতার করেছে কুমিল্ল র্যাব-১১, সিপিসি ২-এর একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, কুমিল্লার দেবিদ্বারের এক নারী গত ৫ নভেম্বর র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, টিকটকে যোগসূত্র তৈরি করে প্রতারকরা অনলাইনে সুবিধাজনক চাকরির প্রলোভন দেখায়। রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে তারা ওই নারীর ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। পরে সেগুলো এডিট করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে মোট সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
টাকা পাওয়ার পরও চক্রটি থেমে থাকেনি। আরও টাকা দাবি করে তারা ভুক্তভোগীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে, প্রোফাইল পিকচারে অশ্লীল ছবি যুক্ত করে এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর র্যাব তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২-এর একটি দল ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার গোলকপুর এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে প্রতারণা চক্রের হোতা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্বাস ভোলার দক্ষিণ আড়ালিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্বাস স্বীকার করেছেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা চক্র পরিচালনা করে আসছেন। চাকরির নামে নারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, আইডি হ্যাক ও অশ্লীল কনটেন্ট ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।