ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন বলেছেন, যত চ্যালেঞ্জ-ই হোক না কেন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করবে ইসি। সামনে এগোনো ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই।
তিনি বলেন, গণভোট আয়োজনের চিঠি পেয়েছি। এখন আইন হলেই প্রস্তুতি শুরু হবে। আর তখনই বলতে পারব কীভাবে গণভোট হবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’ (এএনএফআরইএল) কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
সিইসি বলেন, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই কমিশনের প্রধান এজেন্ডা।’ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কমিশনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি জানান, মৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। সিইসি বলেন, ‘অতীতে মৃত ব্যক্তির নামেও অনেকে ভোট দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার রোধ করা কঠিন হবে।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি সমঝোতা ও সহযোগিতামূলক হতো, তবে কমিশনের কাজ আরও সহজ হতো বলে জানান তিনি।
গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাস করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাস হলে, সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করবে।’
গণভোট হলে চারটি পয়েন্টেই হ্যাঁ/না ভোট হবে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলেও জানান সিইসি।