ঢাকা: খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল ও অবলোপনে বিশেষ নীতি সহায়তা চলমান থাকলেও চলতি পঞ্জিকা বছরের গত ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে খেলাপি ঋণের পুঞ্জিভূত স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি পঞ্জিকা বছরের গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পুঞ্জিভূত স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। এটি ব্যাংক খাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পুঞ্জিভূত স্থিতি ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এর আগে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের পুঞ্জিভূত স্থিতি ছিল ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এটি ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরও আগে মার্চে খেলাপির হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
খেলাপি ঋণের এমন বড় ধরনের উল্লম্ফনের কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। এছাড়া দীর্ঘদিনের লুকানো খেলাপি ঋণ প্রকাশ এবং ঋণ খেলাপি হওয়ার নিয়ম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কারণেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। অন্যদিকে যেসব ঋণ নবায়ন করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই আদায় হচ্ছে না। অনিয়মের কারণে অনেক ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।