ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির মামলার রায় ঘিরে ঢাকার আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ মামলায় রায় ঘোষণা করবেন।
সরেজমিনে, রায় ঘিরে আজ সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে বাড়তি পুলিশ সদস্য মেতায়েনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্যকে দায়িত্ব পালন করছেন। আদালতের প্রধান ফটকগুলোসহ পুরো প্রাঙ্গণে তারা বাড়তি সতর্কতায় অবস্থান করছেন, প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান ও প্রিজনভ্যান। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান সামী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে, যাতে রায় ঘিরে কেউ নাশকতা কেউ না করতে পারে। আদালত প্রাঙ্গণসহ চারপাশে আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
হাসিনা পরিবারের তিনজন ছাড়াও এ তিন মামলায় আরও ২০ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এসব মামলায় শেখ পরিবারের অপর আসামিরা হলেন- শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক। শেখ পরিবার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।