পাবনা: পাবনা-৪ আসনে (ঈশ্বরদী) জামায়াতে ইসলামী মনোনীনত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডলের প্রচারে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের তির একই আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের ওপর পড়েছে। হামলায় আবু তালেব মন্ডলসহ বেশকিছু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর চর গড়গড়ি এলাকায় দু’দিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধাসহ তার লোকজন। সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় প্রচার চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চর গড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছলে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করে।
পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় ফের হামলার শিকার হন। এ সময় আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তখন তাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। হামলায় তিনি সামান্য আহত হন। এছাড়া, জামায়াতের বেশকিছু কর্মী ও সমর্থক আহত হন। ধাওয়া পালটা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় বেশকিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজ সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরা আমাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.স.ম আব্দুন নুর বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচার নিয়ে স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বিএনপির পাবনা-৪ আসনের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, আগের কোনো ঘটনার রেষ ধরে পরিবেশ অস্থিতিশীল করতেই জামায়াতে কৌশল বেছে নিয়েছে। তিলকে তাল বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে তাদের নাশকতার দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করছে।