Thursday 27 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক ফ্ল্যাট একাধিকবার বিক্রি, অবশেষে ধরা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ২০:৩১ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৪৭

এক ফ্ল্যাট একাধিকবার বিক্রির অভিযোগ গ্রেফতার প্রতারক চক্র। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: একই ফ্ল্যাট একাধিকবার বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা হলেন- শাহানা শিকদার (৪৫), সামীর (২৩) ও হানিফ বেপারী (৫৮)। তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে সিআইডি।’

বিজ্ঞাপন

জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে একই ফ্ল্যাট বিক্রয়ের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আসছিল। তারা প্রথমে ফ্ল্যাটটি বিক্রির প্রস্তাব দিত। পরে বলতে, ফ্ল্যাটটি মর্টগেজ রাখা আছে, মালিক জরুরি টাকার প্রয়োজন বা দ্রুত টাকা দিলে রেজিস্ট্রি করে দেবে। এভাবে তারা ধাপে ধাপে অগ্রিম টাকা নিত, আবার সময়ক্ষেপণ করে আরও টাকা দাবি করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘চক্রটি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও প্রলোভন দেখিয়ে একজন ভুক্তভোগী রুপাকে (ছদ্মনাম) ফ্ল্যাট কেনার জন্য আকৃষ্ট করে। পরবর্তী সময়ে রুপা ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহ দেখালে উল্লিখিত চক্রটি কৌশলে গত আগস্ট মাসজুড়ে তার কাছ থেকে বায়না নামার মাধ্যমে ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে রেজিস্ট্রি না দিয়ে তারা গড়িমসি শুরু করে। এরপর ২৭ আগস্ট ধানমন্ডিতে একটি ব্যাংকের সামনে আসামিরা রূপা ও তার সহকারীকে মারধর করে রূপার হাতে থাকা মর্টগেজ টোকেন ছিনিয়ে নেয়।’

জসীম জানান, ঘটনার পর রূপা হাজারীবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। চক্রটি একই ফ্ল্যাট দেখিয়ে আগে আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও অর্থ হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে মো. শাহাদাৎ হোসেনের কাছ থেকে ১২ লাখ, মো. মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে ৯ লাখ ৪০ হাজার এবং মো. নান্নু মিয়া ইমনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয়, গত ২৮ আগস্ট চক্রটি একই ফ্ল্যাট ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় রওশন আরা নামে একজন নারীর কাছে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। মামলার পূর্ণাঙ্গ রহস্য উদঘাটন এবং চক্রের অন্যান্য সদস্য ও সহযোগীদের শনাক্তের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সারাবংলা/এমএইচ/পিটিএম
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর