দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১২৯-এ দাঁড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন এবং উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এক সপ্তাহ ধরে সাইক্লোনের প্রভাবে তীব্র বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মালাক্কা প্রণালীতে বিরল একটি ট্রপিক্যাল ঝড় সৃষ্টি হওয়ায় বন্যা আরও তীব্র হয়।

দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সোংখলা প্রদেশে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে গাড়ি ও বাড়িঘর। ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় বন্যা ও ভূমিধসে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারী জানান। দ্বীপটির কিছু অঞ্চলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনা ও ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলো পরিষ্কারে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুক্রবারও বিমানযোগে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সঙখলা প্রদেশে অন্তত ৫৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রদেশের হাট ইয়াই শহরে শুক্রবার বৃষ্টি থেমে গেলেও ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে হাঁটুসমান পানি রয়ে গেছে। বহু এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেনি।
মালয়েশিয়ায় ট্রপিক্যাল ঝড় ‘সেনয়ার’ মধ্যরাতের দিকে স্থলে আছড়ে পড়ে এবং তারপর দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় কর্তৃপক্ষ ছোট নৌযানগুলোকে উত্তাল সাগরে যেতে নিষেধ করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজারে নেমে এসেছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৪ হাজারের বেশি।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে বন্যায় আটকে পড়া ২৫টিরও বেশি হোটেল থেকে ১ হাজার ৪৫৯ মালয়েশিয়ান নাগরিককে এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা চলছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় তিন দেশের উদ্ধারকারী দল সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।