ঢাকা: বিশ্ববাজারে দেশের রফতানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে দেশে-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো-২০২৫’। রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) এর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি ) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপো-তে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা-বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপো-তে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং ও ফ্যাশন শো-সহ নানা আয়োজন থাকছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আটটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ রফতানিখাতকে এক ছাদের নিচে একত্র করে, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে তার একীকরণকে শক্তিশালী করতে এবং আমরা যে পণ্য রফতানি করি এবং যে বাজারগুলি পরিবেশন করি তা উভয়কেই প্রসারিত করতে সহায়তা করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে, কারণ আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক, স্থিতিস্থাপক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, এ বছর থেকে এক্সপোটি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে যেন এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় – অনেকটা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মতো, যা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচয়ের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। আমরা এই এক্সপোকে একটি বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার কল্পনা করি, যা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার প্রদর্শনী, নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের চালিকাশক্তি এবং উন্মুক্ততা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।