রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল মুরসালিন মুন্নাকে ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সংগঠনের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সকল নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবু আল মুরসালিন মুন্না ফেসবুকে পাল্টা স্ট্যাটাস দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকেই ‘বহিষ্কার’ করেছেন এবং তার অনুসারীদের কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুন্না লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ… পদবিহীন কাউকে বহিষ্কার, হাস্যকর। আমিও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকে বহিষ্কার করলাম। আমার সকল নেতাকর্মীকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দিলাম।’
এর আগে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ’। তবে কী অভিযোগ তা বিস্তারিত বলা হয়নি। সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর ঘোষিত বেরোবি শাখা কমিটিকে ‘ছাত্রলীগের লোক দিয়ে গঠিত’ ও ‘কলঙ্কিত’ বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় আবু আল মুরসালিন মুন্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবু আল মুরসালিন মুন্নাকে বহিষ্কার করায় অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এইচ এম আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে যে কয়জন ছাত্রদলের রাজনীতি করতো। তার মধ্যে আপনি ছিলেন অন্যতম, যখন নেতাকর্মীদের খুঁজে পাওয়া দায় ছিল আপনি তখন রাজনীতি করতেন। অথচ জুলাই বিপ্লবের পর আপনাকে দেখলাম বহিষ্কারের তালিকায়। খুবই দুঃখজনক!’
সাবুর তোহা নামে একজন লিখেছেন, ‘তোর ত্যাগ-সংগ্রাম বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ। শিগগিরই ভালো খবর পাবি।’
আলমগীর হোসেন লিখেছেন, ‘আমরা এক মেসে থাকতাম। শুধু বিএনপির পোস্ট করার কারণে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছিল। আজ আবার নিজের দলই বহিষ্কার করল। এটা কেমন রাজনীতি?’
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য এসংক্রান্ত কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।