Wednesday 03 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে হাজিরা বাধ্যতামূলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৩ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৬

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার ১০ জন সেনা কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতে সশরীরে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন খারিজ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বে বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালতে আসামিপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তোবারক হোসেন এবং প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করা হয়। উল্লেখ্য, আবেদনটি গত ২৩ নভেম্বর করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘আইন সবার জন্য সমান। বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি জেলে থাকলেও সশরীরে হাজির হচ্ছেন। সাবেক মন্ত্রীরাও নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন।’

এই মামলার গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম (র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন), কর্নেল মো. মশিউর রহমান (র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।

এর আগে, ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করার জন্য দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে, যা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর