রংপুর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করলেও যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ইসলাম কায়েম করার এই যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরামের মতো বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আরেকটা যুদ্ধ বাকি আছে—ইসলাম কায়েম করার যুদ্ধ।’
তিনি সাহাবীদের ঐতিহাসিক যুদ্ধের উল্লেখ করে বলেন, ‘বদর, উহুদ, খন্দকে সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে জীবন দিয়ে কোরআনের আইন চালু করেছেন, সেই সাহাবিদের অনুসরণে আমাদেরকেও যুদ্ধ করতে হবে। হাত উচিয়ে আল্লাহকে দেখান, বাংলাদেশের মাটিতে কোরআনের আইনের জন্য আমরা যুদ্ধ করব, ইনশাআল্লাহ।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি করতে হয়। সমস্ত কাজের কেন্দ্রবিন্দু হবে মানুষের কল্যাণ। ব্যক্তি কল্যাণ, স্বার্থপরতা, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি—এসব খারাপ কাজ করলে আখিরাতে কোনো কল্যাণ পাওয়া যাবে না।’
তিনি অতীত ৫৪ বছরের সরকারগুলোকে সমালোচনা করে বলেন, ‘কয়েকটা সরকার এসেছে, কোনোটাই মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেনি। হয় ব্যক্তির জন্য, না হয় দলের জন্য কল্যাণ করেছে। আর না হয় দুনিয়ায় কিছু মানুষের উপকার করার জন্য কাজ করেছে। তারা আখিরাতের কল্যাণের জন্য কাজ করেনি।’
জোটের পক্ষ থেকে তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমরা আট দল দুনিয়ারও কল্যাণ করতে চাই, আখিরাতেও কল্যাণ করতে চাই। আখিরাতের কল্যাণের জন্য আবু সাঈদ-মুগ্ধদের মতো জীবন বিলিয়ে দিতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন চালু করতে জীবন দিতে রাজি আছি।’
এই সমাবেশে জোটের অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন, যার মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চারমোনাই উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষ এবার ইসলামী শাসন দেখতে চায়।