হামজা চৌধুরীর আগমনের পর বদলে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলের চালচিত্র। বছরখানেক আগেও যেখানে খাঁ খাঁ করল স্টেডিয়ামে, সেখানে এখন বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট পাওয়াই দায়! উন্মাদনার প্রভাবটা পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়েও। দেশের মাটিতে হওয়া এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ তিন ম্যাচে বাফুফে তাই আয় করেছে ৪ কোটিরও বেশি টাকা!
বাফুফের পঞ্চম নির্বাহী কমিটির সভায় এ তিন ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম শুধু আয়ের অঙ্কটা জানান।
১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন ২১ হাজার ৩১৭ জন দর্শক। টিকিট বিক্রি, সম্প্রচারস্বত্ব আর বিজ্ঞাপন থেকে সেই ম্যাচে আয় হয় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
৯ অক্টোবর হংকং ম্যাচ নিয়েও সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ২২ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি করে ফেডারেশন। সেই ম্যাচ থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা।
এই বছর সবচেয়ে বেশি মাতামাতি ছিল ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। প্রায় ২৪ হাজার দর্শক সেদিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেন। বাংলাদেশও তাদের হতাশ করেনি, ম্যাচটি তারা জিতেছে ১-০ ব্যবধানে। সেই ম্যাচ থেকে বাফুফের আয় হয় ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে শেষ তিন ম্যাচ থেকে বাফুফের মোট আয় ৪ কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা। বাফুফের আশা, আগামী দিনগুলোতে এই আয় আরও বাড়বে।