বগুড়া: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হাজার হাজার মানুষকে গুম, খুন করা হয়েছে। শত শত শিবির নেতাকর্মিকে খুন করা হয়েছে। অগণিত নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, যাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীদের দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়ার নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে বগুড়া-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির জুলাই শহিদদের স্বপ্ন নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবেনা। আমরা জীবনবাজী রেখে শহিদদের স্বপ্ন পূরণ করব ইনশাআল্লাহ। তিনি বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন এবং উপস্থিত হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আমিন আমিন বলে দোয়ায় শরীক হন। শিবির সভাপতি দেশের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার অবদান এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার অপরিহার্য্যতা তুলে ধরেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ থেকে বিভাজনের রাজনীতির কবর দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানের বিএনপি শহিদ জিয়ার চেতনা ভুলে ফ্যাসিবাদের পথেই হাঁটছে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখছে, একটি রাজনৈতিক দল সেই স্বপ্নকে পিষে মারার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বগুড়া-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, চাকসুর ভিপি ইবরাহীম রনি এবং রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। এসময় আরও বক্তব্য দেন পাবনা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মমিন, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ক্যারিয়ার ডেভেলেপমেন্ট সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, ডাকসুর নির্বাহী সদস্য মিফতাহুল হোসাইন মারুফ, বগুড়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুল হক সরকার প্রমুখ।
ছাত্র-যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাহালু ও নন্দীগ্রামে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।