Thursday 04 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৩৬

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: সিএ প্রেস উইং

ঢাকা: পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে পাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এক বিচারপতিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করার বিধান রেখে এই অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।

রিজওয়ানা হাসান জানান, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠনের অধ্যাদেশটা পাস করা হয়েছে। এই কমিশনের প্রধান থাকবেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন- এমন গ্রেড ওয়ানের নিচে না এরকম কোনো সরকারি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক গ্রেড ওয়ানের নিচে নয়, এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি কর্মরত হতে পারেন, অবসরপ্রাপ্ত হতে পারেন, মানবাধিকার এবং সুশাসন বিষয়ে কাজ করেছে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে- এমন ব্যক্তি এই কমিশনের সদস্য হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে হচ্ছে পুলিশকে জনবান্ধব ও জনমুখী করা। এই কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সেই ব্যাপারে কী কী করণীয় সে বিষয়ে এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার— এগুলো তারা চিহ্নিত করবে।’

রিজওয়ানা হাসান জানান, এই কমিশনের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে— এক. নাগরিকদের যে অভিযোগগুলো থাকবে পুলিশের ব্যাপারে, সেগুলোর তদন্ত নিষ্পত্তি করা। দুই. পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। এই হচ্ছে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের মূল ফিচার।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই কমিশনের যে কাজ হলো- পুলিশ কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংকট নিরসন, পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কল্যাণমূলক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সরকারকে সুপারিশ দেওয়া।’

এছাড়া, পুলিশসংক্রান্ত যেসব আইন গবেষণা করতে হবে সেগুলোর বিষয়েও এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর