ঢাকা: গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় গুলি চালিয়ে ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। এখন আসামিপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ। পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মো. আমির হোসেন।
চার আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হয়েছে—বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবিরই সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম
তাদের বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। অপর দুই আসামি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মশিউর রহমান এখনও পলাতক।
মামলায় হত্যাসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ৪ ডিসেম্বর তারিখে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে চার আসামির বিরুদ্ধে। পলাতক দুইজনের জন্য স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয়েছে।
বর্তমানে রেদোয়ানুল ইসলাম ও রাফাত-বিন-আলম সেনা হেফাজতে রয়েছেন।