Saturday 06 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ত্রয়োদশ নির্বাচন: সরব ও কর্মব্যস্ত বিদেশি কূটনীতিকরা

অপূর্ব কুমার, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২ | আপডেট: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৩

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফাইল ছবি

ঢাকা: আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বহুল প্রত্যাশিত এ নির্বাচন আয়োজনে তফসিল ঘোষণার প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী নির্বাচনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক নির্বাচন অ্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দায়িত্বপালনরত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও আবাসিক প্রতিনিধিদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। আসন্ন নির্বাচন সহিংসতামুক্ত এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে গভীর নজর রাখছেন তারা। নির্বাচন আয়োজনে নানা পরামর্শ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন কূটনীতিকরা।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে সংসদ প্রাথমিক পরিবেশ-পরিস্থিতি মূল্যায়ন শেষে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) এবং কমনওয়েলথ (একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা স্বাধীন দেশগুলোর স্বেচ্ছাসেবী আন্তর্জাতিক সংস্থা)। এতে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহল আগ্রহের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি যাচাই করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্‌–নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আসার কথা রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন-এর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ কথা জানান।

ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো সন্ধ্যায় জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক আসবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৃচ্ছ্রসাধন রীতি অনুসারে তহবিল কাটছাঁটের কারণে আগামী বছরের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের কলেবরটি ছোট হতে পারে। সেই হিসেবে ধরেই নেওয়া হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচন নিয়ে যথেস্ট আগ্রহ রয়েছে।

তবে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে আ্ওয়ামী লীগের সরকারকে সমর্থন করে যাওয়া দেশ ভারত চায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হোক। এই নির্বাচন দেশের মতো বাইরেও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে দলই ক্ষমতায় আসুক ভারত সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ভারতের এখন পর্যন্ত কোন খবর পাওয়া যায়নি। ভারত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে বাংলাদেশ অনুমোদন দেবে কিনা এই বিষয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক অনুমোদনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

কূটনীতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন আরও বাড়ছে। এই গুরুত্ব আরও বেড়েছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে উপস্থিতির কারণে।

বাংলাদেশের গুরুত্বকে অনুধাবন করে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব মতামত ও পর্যবেক্ষণ থাকে। কারণ প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর বিনিয়োগকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি সরকার ও জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। সেইসঙ্গে নিহিত থাকে রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব স্বার্থ। সেই কারণে প্রভাবশালী দেশগুলো চায় বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের দল ক্ষমতায় আসুক। তাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করতে মজবুত ভিত্তি পাবে। এ জন্য সব রাষ্ট্রই আসন্ন ভোটের পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে।

কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলো প্রতিনিয়তই ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিবেদন তাদের হেডকোয়ার্টারে পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে পরিবেশ-পরিস্থিতি জানা-বোঝার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের ভোট ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকরা আবার অন্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ করেও আসন্ন ভোটের পরিবেশ-পরিস্থিতি জানা-বোঝার চেষ্টা করছেন বা নিজেদের পর্যবেক্ষণ একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করছেন।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিদেশি কূটনীতিকদের একাধিকবার আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি ভোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতিপর্বের চিত্রও দেখানো হয়েছে। এতে বিদেশিরা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও ভোট ইস্যুতে বৈঠক করে তাদের যেসব বিষয়ে কৌতূহল রয়েছে সেগুলো জানা-বোঝার চেষ্টা করছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সর্বশেষ বাংলাদেশে দায়িত্বপালনরত বিদেশী কূটনীতিকরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি), জাতীয় পার্টি (জেপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে এই সব বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। নির্বাচন কেমন হতে পারে, সহিংসতা হওয়ার কোনো শঙ্কা আছে কি না, ভোটাররা অবাধে ভোট দিতে পারবে কি না, ভোটের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি আছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

গত বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বারিধারায় কানাডা ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে দায়িত্বপালনরত কানাডার হাইকমিশনার অরজিৎ সিং জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের প্রতি বিশ্বের মানুষের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। গণতান্ত্রিক উত্তরায়নের জন্য নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হওয়া জরুরি।

ঢাকায় অবস্থিত চীনের দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার জানিয়েছে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন পরিস্থিতিতে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা গভীর করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে চীন।

এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের (আউফা) সঙ্গে মতবিনিময়ে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক জনগণের কল্যাণে। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, রাজপথের জনগণের বিষয়ে আমরা মুগ্ধ। বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখুন। গত মার্চে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনে গিয়েছিলেন। ভুলে যাবেন না গুরুত্বপূর্ণ সফরটি ছাড়াও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের তিনটি প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ সফর হয়েছে চীনে। ওই তিন দলের নেতারাসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারাও চীন সফর করেছেন। তারা দুই দেশের মাঝে সহযোগিতা চান। এটাই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের শক্তি। এই সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের স্বার্থের ভিত্তিতে।

ঢাকায় অবস্থিত ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইইউ এক বার্তায় ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত, জাপানের দুই কূটনীতিকের ছবি দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ইইউ এবং জাপান একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সংস্কার, নির্বাচন, বিনিয়োগ ও বহুপক্ষীয়তাসহ সবকিছুই ছিল। সম্প্রতি এক বার্তায় ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাদের আলোচনার আলোচ্যসূচিতে ছিল: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য ইইউর সমর্থন, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, মানবাধিকার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন এবং বহুপক্ষীয়তা।

অন্যদিকে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক উপমন্ত্রী জোহান সাথফ সম্প্রতি থেকে দুদিনের ঢাকা সফর করেন। যা ছিল জার্মানির পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের সফর। এর আগে জার্মান সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ গত ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর এই তিন দিন বাংলাদেশ সফর করেন। এ ছাড়া জার্মানির একটি প্রতিনিধি দল গত ১৭ থেকে ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাদের নিয়ে এই প্রতিনিধি দলে সরকারি-বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ এবং শিক্ষাবিদ, ফেডারেল একাডেমি ফর সিকিউরিটি পলিসির সদস্যরা ছিলেন। ঢাকার জার্মান দূতাবাসের মতে, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে এসব সফর হয়েছে। একই সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থের ক্ষেত্রে পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো অন্বেষণ করা হচ্ছে।

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ১২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা প্রকাশ করার জন্য ভোট দেওয়ার অনুমতি পাবেন। আর এর মাধ্যমে দেশটি এশিয়া ও বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর অঙ্গনে আবারও যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আঞ্চলিকভাবে এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন এই বিশাল চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি নেওয়ায় অত্যন্ত ভালো কাজ করছে। আমি তাদের শুভকামনা জানাই এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভকামনা জানাই গণতন্ত্রে ফিরে আসার এই যাত্রায়। আমরা মনে করি, দেশের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন যাতে বিভিন্ন দল অংশগ্রহণ করতে পারে।

ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হিকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন নির্বাচন ইস্যুতে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, নরওয়েতে নির্বাচনের সময় প্রতিযোগী প্রার্থীর প্রচার কার্যক্রমের সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হয়। কারণ রাজনীতি ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি নাগরিক সেবা। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। কিছু সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে করা হয়েছে। এসব সংস্কারের বাইরে আরেকটি বিষয়ে সংস্কারের কথা ভেবে দেখতে হবে সেটি হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কৃতি। ভালো রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছাড়া বিগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রবণতা, সাংঘর্ষিক রাজনীতি, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি ঘটবে।