ঢাকা: দেশের দুই প্রান্তে একেবারে বিপরীত আবহাওয়া। একদিকে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন রেকর্ড করা হচ্ছে ১০ ডিগ্রির ঘরের হাড়কাঁপানো শীত, অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার আকাশ আজ পরিষ্কার, তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত— এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দুই দিনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০–১১ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। ভোরে বাতাসের আদ্রতা প্রায় ৯৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।
দিনে খানিকটা রোদ থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে শীতের দাপট। কুয়াশা বাড়ায় দুর্ভোগও অনুভব করছেন স্থানীয়রা— বিশেষত ভোরবেলা রাস্তায় চলাচলকারীরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, শীত মৌসুমের শুরুতেই টানা এই নিম্ন তাপমাত্রা এ অঞ্চলে শীতের আগাম সংকেত। আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
শীত বাড়তে থাকায় স্থানীয়রা ইতোমধ্যে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে— গরম কাপড়, কম্বল, আগুন পোহানোসহ নানা উপায়েই শীত নিবারণের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকায় আজ পুরো দিনের আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার সকাল ৭টায় প্রকাশিত ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, বাতাস উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
শীত ধীরে ধীরে নামতে থাকলেও ঢাকায় এখনো কনকনে শীতের অনুভূতি শুরু হয়নি। তবে উত্তর দিক থেকে আসা বাতাসের কারণে রাতের দিকে শীত কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ডিসেম্বরের শুরুতেই দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত তীব্র হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনো অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শীতের প্রভাব আরও দক্ষিণে নেমে আসবে।
একদিকে তেঁতুলিয়ার শীতপ্রবণ মানুষরা আগাম শীত মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অন্যদিকে ঢাকাবাসী অপেক্ষায়— আর কত দিন পর নেমে আসবে প্রকৃত শীতের পরশ।