ঢাকা: ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা অন্যপাশেই অবস্থান করছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, সারারাত ও সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীদের একটি দল। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয়নি। ফলে যানজটে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। অফিসমুখী যানবাহন তীব্র যানজটে আটকা পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাশি দিয়ে সরিয়ে দেয়। আপাতত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সড়কের অন্য পাশে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা বাড়ছে। দুপুরের দিকে এই সড়কে যান চলাচল আদৌ চলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এর আগে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শিক্ষাভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও এখনো চূড়ান্ত অধ্যাদেশের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতে পরিচয় সংকট, অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েন প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে সচিবালয় থেকে শিক্ষাভবন অভিমুখী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং থেকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত আইনটির ওপর অনলাইনে মতামত নেওয়া হলেও তিন দফা বৈঠকের পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।