সিলেট: সিলেটে নগরীতে সাদাপোশাকে পলাতক আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক কর্মকর্তা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত সিআইডিতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আলমকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি পোস্ট অপারেটিভে আছেন।
সিআইডির সিলেটে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) সুজ্ঞান চাকমা বলেন, রাতে সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় সাইবার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি ধরতে সাদা পোশাকে যান সিআইডি কর্মকর্তা খুরশেদ আলম। এসময় আসামি তাকে ছুরিকাঘাত করে মোটর সাইকেল করে পালিয়ে যায়।
সুজ্ঞান বলেন, রাতেই ওই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত সিআইডি সদস্য অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ছুরিকাঘাতে তার বুকের শিরা কেটে গেছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে , সিলেট নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় সোমবার রাতে একটি সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে সাদাপোশাকে অভিযান চালায় সিআইডির একটি দল। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এসআই খুরশেদ আলম আসামিকে ধরতে যান। তখন আসামি তার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে খুরশেদ আলমকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সিলেট কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির ঘটনার নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সিআইডি একাধিক দল অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার ভোররাতে এয়ারপোর্ট থানার মজুমদারী এলাকার একটি মেসে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার দেহ তল্লাশি করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পরিচয়ের একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে সিলেটের তিন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন, আঘাত, চুরি, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ছয়টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা রহিম উদ্দিন রাজু (৩৫) সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার পশ্চিম কোনাগ্রাম এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিলেট নগরীর শাপলাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।