ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে সমর্থন করায় এক বাংলাদেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়াললামপুর উচ্চ আদালত।
দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার বরাত দিয়ে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মালয় মেইল জানিয়েছে, আজ উচ্চ আদালতের বিচারক দাতুক আজহার আবদুল হামিদ এ রায় ঘোষণা করেন। সাজা গ্রেফতারের দিন থেকে কার্যকর হবে এবং কারাদণ্ড শেষে ঐ বাংলাদেশিকে দেশে নির্বাসিত (ডিপোর্ট) করা হবে বলে তিনি নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত বাংলাদেশি মোহাম্মদ দিদারুল আলম (২৯) দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং ২১ জুলাই গ্রেফতারের পর থেকেই পুলিশ হেফাজতে আছেন।
মালয় মেইল আরও জানিয়েছে, মোহাম্মদ দিদারুলের বিরুদ্ধে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ সদর দফতর, বুকিত আমান-এর স্পেশাল ব্রাঞ্চের ই৮এম (কাউন্টার-টেরোরিজম) ডিভিশনে ‘আল মুবিন ইসলাম’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুলিশি তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য বিষয় পোস্ট এবং শেয়ার করে দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ বিষয়ে একজন বাংলা অনুবাদকের বিশ্লেষণ প্রতিবেদনও সংযুক্ত করা হয়েছে।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর আফতাল মারিজ মাহামেদ আদালতের কাছে আবেদন করেন যাতে অভিযুক্ত এবং অন্যান্য বিদেশি নাগরিক বিশেষ করে যারা সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত তাদের প্রতিরোধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তের পূর্বে কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই, তবে এটি একটি গুরুতর অপরাধ যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
মোহাম্মদ দিদারুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একজন দোভাষীর মাধ্যমে বাংলাদেশে তার পরিবারের ভরণপোষণকারী হিসেবে আদালতের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন,‘আমি কাজ করতে মালয়েশিয়ায় এসেছি, এবং আমি আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি।’