ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
তিনি এই ঘটনাকে ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে উল্লেখ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং এর রাজনৈতিক মোটিভ উদ্ঘাটনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, তিনি চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার মাধ্যমে অচিরে ‘অভ্যুত্থান’ শুরুরও ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একাধিক পোস্টে সাদিক কায়েম এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই রাজধানীতে একজন প্রার্থীকে গুলি করা হলো। এটা অশনি সংকেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্টরা এই নির্বাচন প্রতিরোধে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি ও হুমকি দিয়েছে। হাদিকে গুলি করা তারই অশনি সংকেত। ফ্যাসিস্টদের দেশি-বিদেশি দোসররাও আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দিতে চায় না। এ অবস্থায়, প্রার্থীর ওপর হামলায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্নে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।’
ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা উল্লেখ করে ভিপি কায়েম বলেন, ‘ওসমান হাদিকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরে আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অতিসত্ত্বর এই গুলিকারীকে চিহ্নিত করতে হবে এবং একই সঙ্গে এ ঘটনার পেছনের রাজনৈতিক মোটিভ উদ্ঘাটন করে জাতিকে জানাতে হবে।’
পাশাপাশি, তিনি সরকারের প্রতি দল-মত নির্বিশেষে সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান। তিনি বলেন, ‘আরও আহ্বান জানাব, দল-মত নির্বিশেষে যেসব প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারের জন্য মাঠে থাকবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।