চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাহাজভাঙা কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ‘জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম’।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপন দত্ত বলেন, ‘২০১৮ সালে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ভিত্তিতে মাসিক ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মালিকপক্ষ আজ পর্যন্ত সেটা বাস্তবায়ন করেনি। হাতেগোণা দু’য়েকজন মালিক ১৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন, কিন্তু কাজ করিয়ে নিচ্ছেন দৈনিক ১২ ঘণ্টা। এটা শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা।’
‘পাঁচ সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবারের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ঝুঁকি ভাতা, যাতায়াত ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যয় বিবেচনায় ৩৬ হাজার টাকার কম মজুরি কোনোভাবেই মানবিক বা বাস্তবসম্মত নয়। এই দাবি বাংলাদেশের সংবিধান, শ্রম আইন, জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং আইএলও কনভেনশনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে সকল শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেওয়া, শিল্প এলাকায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ, ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরি দেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদিন, সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টু, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সদস্য মো. আলী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মছিউদদৌলা, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিএফটিইউসির সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, বিএমএসএফ-এর যুগ্ম সম্পাদক মো. ইদ্রিস, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মানিক মন্ডল।