বগুড়া: ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উদযাপনে সবাই ছুটবেন শহিদ মিনারে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে শোভা পাবে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন সবাই। বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুলে ফুলে ভরে যাবে প্রতিটি শহিদ বেদী।
দিনটিকে ঘিরে বগুড়ায় ফুল বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। ফুল বিক্রেতাদের কাছে রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তির অগ্রিম অর্ডার। দিবসকে ঘিরে বগুড়ার ফুল বাজারে অর্ধকোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে ফুল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সাইজের ফুলের মালা তৈরি করছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্ডার অনুযায়ী ফুল বুঝে দিতে দোকানে দোকানে চলছে মালা তৈরির উৎসব।
জানা যায়, প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, পহেলা জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, বসন্তবরণ উৎসব, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এবার ১৬ ডিসেম্বরকে ঘিরে বগুড়ার ফুল ব্যবসায়ীরা ১৭টি দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন। এজন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং ফুলের মালা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারে ফুলের দাম বেশি হলেও চাহিদা অনেকটায় বেশি। আকারভেদে প্রতিটি ফুলের মালা বিক্রি হবে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
বগুড়া ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে ১৭টি দোকানে চলছে ফুলের সমাহার। লাখ টাকার ওপরে সবাই ফুল কিনেছেন। ৫০০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা মূল্যের ফুলের মালা তৈরি করা হচ্ছে। ফুল মার্কেটের দোকানগুলোয় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক রকমের ফুল। এর মধ্যে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা অন্যতম। এসব ফুল আকর্ষণীয়ভাবে বেঁধে শ্রদ্ধা জানানোর ফ্রেমে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন আকারের মালা তৈরি করা হচ্ছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল মার্কেটের দোকানিরা।
তারা আরও জানান, প্রত্যেক বছর মহান বিজয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসে প্রচুর ফুল বিক্রি হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ ব্যক্তি পর্যায় থেকে ফুল নেওয়ার জন্য অগ্রিম অর্ডার এসেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্ডার অনুযায়ী ফুল বুঝিয়ে দিতে হবে। বর্তমানে তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই।