ঢাকা: দেশে কোনো দূতাবাসে হামলা হলে তা বহির্শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি সবাইকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, যদি কোনো দূতাবাস আক্রান্ত হয় বা কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটে, তাহলে বহির্শক্তি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। আমরা এমন কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’
তিনি বলেন, ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভারত প্রকাশ্যভাবে সেটিকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে এ কারণে ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুর বা হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর জোর দিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘যারা সহিংসতা, সাবোটাজ, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা দূতাবাসে হামলার চেষ্টা করবে, জনগণকে তাদের নিবৃত্ত করতে হবে। আমাদের আবেগ আছে, কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের বিবেক ও যুক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিয়েছে। এনসিপি এ ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানায় বলেও তিনি জানান।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ও অহিংস রাজনীতির পক্ষে। এই আদর্শ আমাদের শিখিয়ে গেছেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি। তিনি গড়ার রাজনীতি করেছেন-ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন, কিন্তু কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান ভাঙার পথে যাননি।’
শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে এনসিপি এদিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কইবো’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা ঢাকা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান, জুলাইযোদ্ধা খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।