সিলেট: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ জাতির জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল একটি শোষনবিহীন সাম্যের মানবিক বাংলাদেশ। কিন্তু বিজয়ের ৫৫ বছরেও আমরা বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। জামায়াত প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সুফল জাতির দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে চায়। আমরা জাতির গর্বিত সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের ফুলেল সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থিত থেকে দেন-সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা, সিলেট জেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুখলেছুর রহমান, মহানগর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনাফ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নাজিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. কবির আহমদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সেক্রেটারি দেওয়ান মো. মঞ্জুর আহসান প্রমূখ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর সহকারি সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাগণ দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তান। কারণ তাদের সাহসী ভুমিকার কারণে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের রুহের মগাফেরাত কামনা করছি এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের ফল। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী দেশে স্বৈরাচারী একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। আবার কেউ কেউ পুরনো বয়ানের মাধ্যমে জাতিকে বিভক্তের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ষড়যন্ত্র করছেন। এ ব্যাপারে জাতির সূর্যসন্তান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’