নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে জলঢাকা বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে জলঢাকা থানা ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে।
নিহত মুয়াজ্জিন ফরিদুল ইসলাম নীলফামারীর জলঢাকার কাঁঠালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর দেশীবাই বোর্ডের ডাঙ্গা দোতলা মজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কর্মরত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, হত্যাকাণ্ডের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নিহতের স্ত্রী মোছা. মার্জান বলেন, ‘আমার স্বামী তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা কোনো মীমাংসায় রাজি না হয়ে হঠাৎ তার ওপর হামলা চালায় এবং আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার এক মাস পার হলেও কোনো আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করে আমাকে বিধবা করেছে, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।‘
নিহতের স্বজন মিরাতুর রহমান বাবু ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য স্বজনরাই মুয়াজ্জিন ফরিদুল ইসলামকে সালিশে ডেকেছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা মীমাংসা না মেনে নিজেরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফরিদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হলে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এ ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর জলঢাকা থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন-এনামুল হক, হাবিবুর রহমান, হামিদা বেগম ও হাসানুর রহমান।
থানা ঘেরাও হলে উপস্থিত সকলকে দ্রুত আসামি গ্রেফতারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল আলম। এ সময় তিনি বলেন, ‘নিহত মুয়াজ্জিন একজন অত্যন্ত সাধারণ ও সৎ মানুষ ছিলেন। এই ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’