ঠাকুরগাঁও: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তিনজন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আটজন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১০জন প্রার্থী।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলা রির্টানিং কর্মকতাসহ উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবরে মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, ছাত্রশিবিরের ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা শাখার সহ-সভাপতি খাদেমুল ইসলাম।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমির আব্দুল হাকিম, এবি পার্টির নাহিদ রানা, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুন নাহার বেগম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার মর্তুজা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র আব্দুস সালাম, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হোসেন ও বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির হরিপুর সভাপতি সাহাব উদ্দীন আহম্মেদ।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক উপজেলা আমির মিজানুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এস এম খলিলুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি জাহিদুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি প্রভাত সমীর শাহজাহান আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীরগঞ্জ উপজেলা সহ-সভাপতি আল আমিন, বিএমজেপির জেলা আহবায়ক কমলাকান্ত রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি ও বাংলাদেশ সুপীম পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনে ৪১৭টি ভোট কেন্দ্রে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৮০৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ইরশাত ফারজানা বলেন, জেলার তিনটি আসনে মোট ২০ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।