গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:১৪
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘চরমপন্থী’ এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গায় নেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, বুধবার ভোরে অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধানে গেলে সেখানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের এক ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও দাবি এই পুলিশ কর্মকর্তার।
সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমির আব্বাস জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ভালাইপুর কবরস্থানের কাছে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। এতে চরমপন্থি নেতা কেতু মারা যায়। তার বাড়ি জেলা সদরের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। বাবার নাম শওকত আলী।
কেতুর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আনার পর রাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে গুলি করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। কেতু পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, ছয়টি বোমা, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে।
পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আহসান হাবীবের দাবি, নিহত কেতু চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
সারাবাংলা/একে