আপন ভাইকে গুলি করতে এসে…
২৩ আগস্ট ২০১৮ ১৬:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ভাইকে খুন করতে গিয়েছিলেন আব্দুর রউফ (৩৮)। সঙ্গে ছিলেন রউফের আরেক ভাইয়ের ছেলে আরশাদুর রহমান অপু (৩২)। গুলিভর্তি পিস্তল বের করে আব্দুর রাজ্জাককে খোঁজার সময় ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের নজরে পড়ে বিষয়টি। স্থানীয় জনতাও রউফ এবং অপুকে ঘিরে ফেলে এবং পিটুনি দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি এসআরবি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
রউফ ও অপুর কাছ থেকে ইটালির তৈরি একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত আবুল কাশেমের চার ছেলে। এর মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রউফ। অপু মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। আব্দুর রাজ্জাক এসআরবি এলাকার একটি ভাতের হোটেলের ম্যানেজার।
পশ্চিম মাদারবাড়ির এসআরবি এলাকায় পৈতৃক বাড়িতে বাস করেন তিন ভাইয়ের পরিবার ও মৃত আবুল কাশেমের বৃদ্ধা স্ত্রী। আব্দুর রউফ তার পরিবার নিয়ে একই এলাকায় যুগী চাঁদ মসজিদ লেনে আলাদা বাসায় থাকেন। তিন মাস আগে রাজ্জাক ও রউফের মধ্যে জামি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। আবার অপুর স্ত্রীর সঙ্গে একই ভবনে বসবাসকারী তার চাচিশাশুড়ি রাজ্জাকের স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। যে কারণে রউফ এবং অপু রাজ্জাককে ঘায়েল করার পরিকল্পনা করে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের দিন (২২ আগস্ট) দুপুরে রউফ এবং অপু মিলে রাজ্জাক ও তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে তারা রাজ্জাককে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাজ্জাক বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানান। সেই অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পুলিশ অবস্থান নেয়। রাজ্জাককে খুঁজতে রউফ ও অপু ভাতের হোটেলে আসে এবং চিৎকার করে।
“একপর্যায়ে তারা পিস্তল উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকলে আমাদের টিম অগ্রসর হতে থাকে। জনতাও সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। পিস্তল থাকায় আমরা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এগিয়ে গেলে তারা পিস্তল নামিয়ে নেয়। এসময় জনতা তাদের ধরে পিটুনি দেয়। আমরা তাদের আটক করি।” বলেন নেজাম উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, পিটুনিতে আহত হওয়ায় অপুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
সারাবাংলা/আরডি/এটি