শহিদুল আলমের মুক্তি চাইলেন টিউলিপ, খবর দ্য টাইমসের
২৮ আগস্ট ২০১৮ ১০:২০
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ঢাকা: প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, সাংবাদিক শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়েছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক। তার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শহিদুল আলমের মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন টিউলিপ।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, লেবার পার্টির হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন এলাকার সংসদ সদস্য টিউলিপ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতে শহিদুল আলমের এই গ্রেফতার অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। এর অবসান প্রয়োজন।
টিউলিপ আরও বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই নিজ দেশের নাগরিকদের বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে। আমি আশা করব, আমাদের (ব্রিটিশ) পররাষ্ট্র দফতর এই বার্তাটি আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশটির (বাংলাদেশ) কাছে পৌঁছে দেবে।
দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিরা শহিদুল আলমকে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের নোবেলজয়ী, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, অভিনেত্রী, সাংবাদিক, আলোকচিত্রী, লেখক ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি জানান। এদের মধ্যে অমর্ত্য সেন, স্যার রিচার্ড বেনসন, শ্যারন স্টোন, রিচার্ড কোর্টিস, ডেসমন্ড টুটু উল্লেখযোগ্য। তাদের সঙ্গে এবার যোগ হলেন টিউলিপ।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সড়কে দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ হারানোর ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাতে নিজ বাসা থেকে আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় শহিদুল আলমকে। এর আগে তিনি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলেছেন, কাতারভিত্তিক আল জাজিরাতেও একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। পরদিন তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। শহিদুল আলমের অভিযোগ, তাকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে।
দ্য টাইমস বলছে, যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি রয়েছে শহিদুল আলমের। যুক্তরাজ্যের টেট মডার্ন, দ্য হোয়াইট চ্যাপেল গ্যালারি, নিউ ইয়র্কের মোমা গ্যালারি, প্যারিসের পম্পিডোসহ বিভিন্ন দেশের গ্যালারিতে তার আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। তাকে যে আইনে (আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা) গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ভয়ংকর বলে অভিহিত করেছে। ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে’— এমন কিছু প্রচার বা প্রকাশ করলে এই আইনের অধীনে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সারাবাংলা/এনএইচ/টিআর