‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ প্রতিহত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান
২৯ আগস্ট ২০১৮ ২০:৩০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধ প্রতিহত করা হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ জন্য তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলন-২০১৮’-এর শেষ দিন মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) তিনি এ আহ্বান জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ১৯২৯ সালে রক্ষণশীল স্মুট হলি ট্যারিফ পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এর আওতায় আমেরিকার কৃষি ও ব্যবসাকে রক্ষার জন্য ২০ হাজারেরও বেশি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়। এটি তখন বিশ্ব বাণিজ্যকে ৬৬ শতাংশ সংকুচিত করে এবং সারাবিশ্বে মহামন্দা তৈরি করে। আশা করব, সেই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববাণিজ্য প্রতিহত করা হবে।
বিশ্ব যখন বিশ্বায়নবিরোধী তথাকথিত বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকির সামনে, তখন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে এ সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ২৭ আগস্ট শুরু হয় দুই দিনের এই সম্মেলন। ৬০টিরও বেশি দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এই অঞ্চলের দেশগুলোকে বাণিজ্যযুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ বাণিজ্য পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে। কেননা যদি আপনি দ্রুত চলেন, তবে আপনাকে একাই চলতে হবে। আর যদি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে চলতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে একসঙ্গে চলতে হবে।’
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, যখন আমরা একতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলছি, ঠিক তখন বাংলাদেশ প্রতিবেশী মিয়ানমার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু নামক গুরুতর একটি সমস্যা তৈরি করেছে। এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর প্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা অবশ্যই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন যেন রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি ও সামাজিকসহ বহুবিধভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কিন্তু এই সম্পদ তখনই প্রকৃত সম্পদে পরিণত হবে যখন দক্ষতার সঙ্গে সম্পদের যথার্থ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। এটি কঠিন হলেও সবার প্রচেষ্টায় নিশ্চয় সম্ভব।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ওই অধিবেশনে শ্রীলংকার যুবমন্ত্রী সাগালা বাতানায়েকে, মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিতানাহ লুচিমিনারাইডো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল-জিউওদি বক্তব্য রাখেন।
দুই দিনের এই সম্মেলনের আয়োজক সংগঠনের পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সিংগাপুর। ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলনের আগের দু’টি আসর হয়েছে সিংগাপুর ও শ্রীলংকায়।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর
আ হ ম মুস্তফা কামাল পরিকল্পনামন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল