কিশোর হত্যা মামলা: ৩ আসামির স্বীকারোক্তি, রিমান্ডে ৪
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৩২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।|
ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরাফাত ও শান্ত নামে দুগ্রুপের সংঘর্ষে এক কিশোর হত্যা মামলায় ৩ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, এ ছাড়া চার আসামিকে একদিনের রিমান্ড ও একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান আট আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে চার আসামির সাতদিন করে রিমান্ড, তিন আসামির স্বীকারোক্তি ও এক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী চার আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, মনির হোসেন ও মেহেরাব হোসেন।
সাইফ, আরাফাত ও সিফাত নামে তিন আসামি ঢাকার পৃথক তিন মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
এ ছাড়া আপেল নামে এক আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) খুনের ঘটনায় প্রধান খুনী ও সহযোগীসহ আট কিশোরকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উল্লেখ্য, উত্তরার দক্ষিণখানে দুটি কিশোর গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। একটি আরাফাত গ্রুপ, অন্যটি শান্ত গ্রুপ। নিহত কিশোর মেহেদী হাসান শান্ত গ্রুপের সদস্য ছিল। ওই দুইগ্রুপের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ কারণে তারা একটা হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পরিকল্পনা করে।
মেহেদী নিহত হওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে আরাফাত গ্রুপের সদস্য কাউসার শান্ত গ্রুপের সদস্য হোন্ডা মেহেদীকে তুই বলে সম্বোধন করে। এই তুই বলাকে কেন্দ্র করে শান্ত গ্রুপের সদস্য হোন্ডা মেহেদী ও নিহত মেহেদী আরাফাত গ্রুপের অপর এক সদস্য সাইফকে মারধর করে। এ কারণে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৩১ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি পথসভার মিছিল নিয়ে আসে শান্ত গ্রুপের ভিকটিম মেহেদী, নাজমুলসহ অনেকে। সেখানে শত শত মানুষেরমাঝে তাদের ওপর হামলা করে আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় ভিকটিম মেহেদীর বাম হাতে ওবুকের বাম পাশে সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমআই