Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাসমান বীজতলায় নতুন আশা দেখছেন কৃষকেরা


২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩৭

।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দিক-নির্দেশনায় বন্যা কবলিত এলাকায় ভাসমান বীজতলা তৈরি করে সুফল পাচ্ছেন কৃষক। স্বল্প খরচে অল্প দিনে ধানের চারা ও সবজি চাষ করতে পেরে অনেকেই ঝুঁকছেন ভসমান পদ্ধতিতে। বন্যা ও জলাবদ্ধপ্রবণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল নিয়ে এই ভাসমান বেডে বীজতলা তৈরির উদ্যোগে নতুন আশা দেখছেন কৃষকেরা।

নতুন এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং উপজেলার যে সমস্ত এলাকায় প্রতি বছর বন্যা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেসব এলাকার কৃষকদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। এতদিন যেসব কৃষক বর্ষার সময় তাদের জমিতে সময় মতো চারা তৈরি করতে না পেরে চাষ করতে পারতেন না, এই পদ্ধতি তাদের বুকে আশার সঞ্চার করেছে।

বন্যাপ্রবণ এলাকার কৃষক ইয়াকুব আলী ও আলিম জানান, নতুন এই পদ্ধতিতে এ বছর যেসব ভাসমান চারার বেড তৈরি করা হয়েছে সেগুলোতে বেশ ভাল চারা উৎপাদন হয়েছে। আগামীতে তারা নিজেরাই এই বেড তৈরি করে চারা উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর অন্যান্য এলাকাতে সরবরাহ করতে পারবেন। এতে করে বর্ষা মৌসুমে উপজেলায় যে চারা সংকট দেখা দেয় তা আর হবে না।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শাহানগাছা গ্রামের কৃষক আমজান আলী জানান, তাদের এলাকায় প্রতি বছরই বন্যা হয়। যে কারণে তারা সময়মত বীজতলা তৈরি করতে পারেন না, এতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হন। নতুন এই পদ্ধতি আসায় এখন আর তাদের চারা উৎপাদনে সমস্যা হবে না ফলে তাদের আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী বলেন, ‘প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ১০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে নাবি জাতের বিআর-২২ ধানের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এই বীজতলা তৈরি করতে কাঁচা কচুরিপানা, বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও কলাগাছ দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। এই সব বেডে অংকুরিত বীজ বুনতে হয়। ২০/২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদিত হয় এবং রোপণের উপযোগী হয়। এতে খরচ নেই বললেই চলে। পানি থাকাকালীন অবস্থায় এই বেড পানিতে ভাসিয়ে রাখা যায়। আবার পানি শুকিয়ে গেলে জমিতে ও রাখা যায়।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আরশেদ আলী জানান, এটি একটি আপদকালীন প্রযুক্তি। কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এবছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হবে। বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবেন।

সারাবাংলা/এমও

বীজতলা সিরাজগঞ্জ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর