Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা: কাদের


৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও সভা-সমাবেশে সমান অধিকার নিয়ে তারা আলোচনা করতে চান। সভা সমাবেশ তো করছেনই তারা। কিন্তু যখন শিডিউল (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল) ঘোষণা হবে, তখন সভা-সমাবেশে সমান অধিকারের বিষয়টি চলে যাবে একেবারেই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। দে উইল ডিসাইড ইট।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের জানান, তাদের আলোচনার তালিকায় সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি আছে। দুয়েকটি বিষয় আছে যেগুলো আইন-আদালতের বিষয়। আবার দুয়েকটি বিষয় পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের। সংলাপ নিয়ে আমরা যা বলেছি, সেটা আমাদের সরকার ও দলের নীতিগত বিষয়। আর তারা তাদের বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। সাত দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য নিয়ে তারা আলোচনা করতে চান। তাদের মোস্ট ওয়েলকাম।

তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে দল ও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয় তো আমরা বলতে পারি না যে মেনে নেওয়া হলো। এ বিষয়ে তাদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত হতে পারি। বাট ডিসাইড করবে নির্বাচন কমিশন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আরেকটি বিষয় আছে, সেটা হলো বিদেশি পর্যবেক্ষক। সেটা তো মেনে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু যেটা আমরা মেনে নিতে পারি না, সেটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যখন চেয়েছেন, তখন আলাপ আলোচনা খোলামেলা পরিবশেই হবে।

বিজ্ঞাপন

ঐক্যফ্রন্টের নেতা মোস্তফা মহসিন মিন্টুর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন পেপারে খবর এসেছে, আমরা নাকি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। এটা সত্য নয়। আমি মোস্তফা মহসিন মিন্টুর সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে চেয়েছি তারা কয়জন আসতে চান। তিনি বলেছেন ১৫ জন। আমি বলেছি, ১৫ জন কেন, চাইলে আপনারা ২০-২৫ জনও আসতে পারেন। আর খাবার মেন্যু নিয়েও নাকি কথা বলেছি! এসব হালকা বিষয় পেপারে না আসাই ভালো।

সংলাপে কোন পক্ষের কতজন থাকবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের কত জন থাকবেন, সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার ঐক্যফ্রন্ট তালিকা পাঠাবে। সেটা দেখে আওয়ামী লীগও তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। তাদের লিস্টটা দেখে আমরা ঠিক করব আমাদের কারা থাকবেন। ১৪ দল এক সুরে কথা বলেন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির সিদ্ধান্তই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনাটা সরকারের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে— এ বিষয়টি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সংলাপ সরকারের সঙ্গে নয়, এ সংলাপ আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এ সংলাপ আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে। আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তারাও চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করতে।

কারও আন্দোলন বা চাপের মুখে এই সংলাপ নয়— এমনটি জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা তো এমন হয়নি যে দেশে একটি প্রতিবাদের ঝড় বা আন্দোলনমুখর অবস্থা বিরাজ করছে এবং সেই অবস্থায় সরকার নতি স্বীকার করে সংলাপে বসছে। বিষয়টা হচ্ছে, ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাও বলেছেন, কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার জন্য দরজা খোলা আছে। তাই আলোচনা হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত রোববার (২৮ অক্টোবর) সরকারের সঙ্গে সংলাপ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরদিন সোমবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দলীয় শীর্ষ নেতাদের অনির্ধারিত এক বৈঠকে সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চিঠি ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ। তাতে বলা হয়, আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন-

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আ.লীগ: কাদের

সংলাপে বসার অহ্বান জানিয়ে আ.লীগকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

সংলাপে কী মেন্যু পছন্দ? জেনে নেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর!

প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পেলেন ড. কামাল, ১ নভেম্বর গণভবনে সংলাপ

সারাবাংলা/ এইচএ/এমএইচ/টিআর

আওয়ামী লীগ-ঐক্যফ্রন্ট সংলাপ ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর