Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি করা মিয়ানমারের দায়িত্ব’


২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:২৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ মিয়ানমারকেই সৃষ্টি করতে হবে। রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাস্তুচুতির ঘটনায় যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে মিয়ানমারকেই আন্তরিক উদ্যোগ নিতে হবে।

চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে মিয়ানমারকে এ আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) এক বার্তায় বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারকেই ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মিয়ানমার সরকারের প্রতি ইউএনএইচসিআর আহ্বান জানাচ্ছে যে রোহিঙ্গারা তাদের বসত-ভিটায় ফিরতে পারে এমন পরিবেশের সৃষ্টি করুন। এই সংকটের মূল সম্পর্কে রাখাইন অ্যাডভাইজারি কমিশনের সুপারিশে চিহ্নিত করা আছে, ওই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।’

ইউএনএইচসিআর এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ যে আন্তরিকতা এবং ধৈর্যের সঙ্গে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। এই সংকটের শুরু থেকেই বাংলাদেশ তা সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে ইতিবাচক যোগাযোগ রক্ষা করে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।’

‘এখন রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য ইতিবাচক পরিস্থিতি এবং পরিবেশ সৃষ্টির পুরো দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে যে এই সঙ্কট সমাধানে অনতিবিলম্বে ইতিবাচক কর্মকা- বাস্তবায়ন করুন। এই সঙ্কটকের মূল এবং সমাধান সম্পর্কে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। কোনো কাল বিলম্ব না করে মিয়ানমার সরকারের উচিত রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা।’

বিজ্ঞাপন

গত ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীসহ একাধিক জাতি-গোষ্ঠীর লোকজন রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালালে জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য গত ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে। স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে গঠন করা হয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার কখনোই আন্তরিক ভূমিকা নেননি।

সর্বশেষ, চলমান নভেম্বরের ১৫ তারিখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম ব্যাচ রাখাইন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রাখাইনে এখনো ইতিবাচক এবং ফিরে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারায় রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি হয়নি।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর