Friday 16 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অসুস্থ শিক্ষকদের চিকিৎসায় অবহেলা


১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:৩৫ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৫১

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে শীতে কাঁপছেন মাদরাসা শিক্ষকরা। প্রচন্ড শীত আর অনাহারে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩৭জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। অসুস্থ এসব শিক্ষকদের ভাল চিকিৎসা হচ্ছেনা। শিক্ষক নেতারা বলছেন অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তায় খুব দ্রুতই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হবে।

জাতীয়করণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। দাবি না মানায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা্।

কয়েকদিন ধরে সারাদেশে তীব্র শীত অব্যাহত থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষক প্রচন্ড কষ্টে রয়েছে। আন্দোলন স্থলের জায়গায় জায়গায় অসুস্থ হয়ে পড়া বিভিন্ন বয়সী শিক্ষকরা শুয়ে আছেন। এর মধ্যে নারী শিক্ষকদের অবস্থা বেশি খারাপ।

পরিবার-পরিজনহীন ফুটপাত জীবন যে কি কষ্টের সে কথাই জানালেন শেরপুরের মমতাজ বেগম। তিনি জানান গত ১ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছি। এর মধ্যে জিপিও’র পাবলিক টয়লেটে গিয়ে দুইদিন গোসল করেছি। দিনগুলো যে কী অসহ্য যন্ত্রণায় কাটছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। এমন জীবন যেন কারো না হয়।

পাশের বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আসমা খাতুন বলেন, মাদরাসা বোর্ড থেকে কামিল পাস করেছি ২০০৫ সালে। সেই থেকে একটি মাদরাসায় রয়েছি। কিন্তু হবে হবে করে আজ পর‌্যন্ত সেটি জাতীয় করণ না হওয়ায় একটি টাকাও পেলাম না। এখন বয়স নেই। তাই অন্য কোনো চেষ্টাও যে করবো সে পথ বন্ধ। এবার শুন্য হাতে ফিরে যেতে হলে মরতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষকদের চিকিৎসায় তেমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি আন্দোলনস্থলে। এ বিষয়ে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান জানান, ৬ শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট একটি আবেদন জমা দিব। দেখি তারা কী ব্যবস্থা নেয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমীন চৌধুরি বলেন, আমরা যুগযুগ ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছি। অথচ কোনো বেতন পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার একটা ব্যবস্থা না করলে আমরা এই রাজপথেই মরে যাব তবু ঘরে ফিরে যাব না।

 

সারাবাংলা/এমএস/জেএএম

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর