বরিশাল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাড়ে ৯ মাস পর ২৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানায় ওই মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মারযুক আব্দুল্লাহ।
মামলায় বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সাংবাদিকেরাও রয়েছেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে।
কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মানিক চন্দ্র সাহা এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই আসামিরা নগরীর সরকারি হাতেম আলী কলেজের পশ্চিম পাশের খ্রিস্টান মিশনারি দাতব্য সংস্থাসংলগ্ন রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এছাড়া, মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, তার স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহ, বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজও রয়েছেন।
দীপ্ত টিভি বরিশাল ব্যুরো প্রধান মতুর্জা জুয়েল ও বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ব্যুরো প্রধান খান মাইনউদ্দিনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।