আমি দুঃখিত: ড. কামাল
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জামায়াতকে নিয়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন জানান, হঠাৎ করেই তার কাছে কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
আরও পড়ুন: খামোশ বললেই জনগণ চুপ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ড. কামাল বলেন, ‘আমি সারাজীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতা প্রশ্নের পেশা, প্রশ্ন করাই আমাদের কাজ
শুক্রবার সকালে মিরপুরে বধ্যভূমিতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা নয়।’
একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা।’
কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। জেনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা করো।
আরও পড়ুন: ড. কামাল জগন্য অপরাধ করেছে : স্বরাস্ট্রমন্ত্রী
পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।’
আরও পড়ুন: ড. কামালকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি জিডি করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/একে