শীতে কাঁপছে রংপুর, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৩
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দিনাজপুর : রাতের আঁধার শেষে চারপাশে উঁকি দিয়েছে দিনের আলো। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়াতে উত্তরাঞ্চলের যানবাহনগুলোকে চলতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার কারণেই এই বাড়তি সতর্কতা।
শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সাধারন মানুষ। তীব্র ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে গরিব, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কষ্টে রয়েছে গবাদিপশুরাও। কয়েকদিন ধরে বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিতসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসকরা এই শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের সতর্কতার সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। উত্তরের জেলাগুলোতে তীব্র কুয়াশায় পথ চলতে বিপাকে পড়ছেন পরিবহন চালকরা। দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন উত্তরের জনপদের মানুষ।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) রংপুর বিভাগের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
রংপুর শহরের মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রহমান মিয়া বলেন, গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই শীতে কাজ-কর্ম করা খুবই কষ্টকর। শীতবস্ত্র না থাকায় এই কষ্ট আরো বেড়েছে। এবছর এখনও শীতবস্ত্র অনুদান পাননি বলেও জানান তিনি।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে কথা হয় রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুরের তোফাজ্জুর রহমান ও পঞ্চগড় তেতুলিয়ার রহিদুল ইসলামের সঙ্গে। আগামী দু’একদিন রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে আগামী ৭-৮ জানুয়ারি থেকে রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবে। যা কয়েকদিন স্থায়ী থাকবে। এসময় কুয়াশার তীব্রতাও বাড়বে।
তারা জানান, চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বিভাগের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায়। যা গত ২ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. পারভেজ সোহেল রানা জানান, এই শীতে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। সাবধানতা মেনে না চললে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিতসহ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঠাণ্ডাজনিত রোগ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শীত থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের রক্ষায় সাবধান থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন