কার্যকর ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেখতে চায় ডিসিসিআই
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচকের (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) উন্নয়নে দ্রুত সময়ে কার্যকর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কর্পোরেট কর হার কমানো, ব্যাংকিং খাতকে শৃঙ্খলে আনতে ঋণ খেলাপীদের শাস্তি ও স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবিও জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মতিঝিলের ডিসিসিআই ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়। ব্যবসার বিভিন্ন সূচকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ডিসিসিআইয়ের প্রত্যাশা ও সরকারের কারণীয় বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি ওসামা তাসীর। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সচিব জয়নাল আব্দীনসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ২০০৬ সালে ডুয়িং বিজনেসে আমাদের অবস্থান ছিল ৬৫ তম, ভিয়েতনামের অবস্থান ৯৯তম। আর ২০১৯ সালে এসে আমাদের অবস্থান ১৭৬তম এবং ভিয়েতনামের অবস্থান ৬৯তম। সূচকটির উন্নয়নে আমরা দ্রুত সময়ে বিডা, বেজা, ও হাইটেক পার্কের সমন্বয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেখতে চাই। এক্ষেত্রে, ডিসিসিআই ভবনেও একটি ইউনিট খোলা যেতে পারে, যেখান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিভিন্ন সেবা পাবেন।
বিনিয়োগ বাড়াতে বন্ড মার্কেট চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কর্পোরেট কর এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। এর প্রভাবে বিদেশী বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই আগামী তিন বছরে ধাপে ধাপে ৫, ৭ ও ১০ শতাংশ করে কর্পোরেট কর কমানো হোক। পোশাক খাতের কর্পোরেট কর কমানোর পক্ষেও দাবি জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে ৮ লাখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। তবে, নিয়মিত ভ্যাট দেয় মাত্র ৩৭ হাজার। আমরা মনে করি, ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হার হওয়া উচিৎ। আমরা ৭ শতাংশ হারে ভ্যাটের সুপারিশ করেছি। নতুন ব্যাংক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন ব্যাংক ভালো হবে না খারাপ হবে এটি এখনও বলার সময় আসেনি। অন্যান্য সংগঠনের মতো ঋণ খেলাপীদের শাস্তি দাবি করে আসছে ডিসিসিআই। তবে এই সংগঠনটির কেউ যদি ঋণ খেলাপী হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা কী হবে জানতে চাইলে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, খেলাপী ঋণ আমাদের জাতিগত সমস্যা। আমরা তাদের (সংগঠনের সদস্য) নীতিগতভাবে চাপ দিতে পারি। কিন্তু অনেকেই পরিস্থিতির কারণেও খেলাপী হয়।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয় যানজট নিরসনে ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে নীতিগত সহযোগিতা করতে চায় ডিসিসিআই। এক্ষেত্রে ঢাকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গ রাজউকের আলোচনাও চায় তারা। রফতানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে পোশাক খাতের সফলতার মডেলকে অন্যান্য খাতেও কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মত এই ব্যবসায়ি সংগঠনের। ব্যাংকের ঋণ দক্ষতা বৃদ্ধি, সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে কার্যকর, স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনসহ সরকারি বেসকারি ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা জানান এই সংগঠনের নেতারা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম