শাহ আমানতে অস্ত্রধারী আটক

সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীর কবলে পড়লেও পরে রাত নেমে যায়। ততক্ষণেও সঙ্কটের সমাধান হয়নি।

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জরুরি অবতরণ করা উড়োজাহাজ থেকে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানানো হয়নি।

সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে অস্ত্রধারীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল মুফিদুল আলম।

আরও পড়ুন- শাহ আমানতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, অভিযানের প্রস্তুতি

মুফিদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, কেবিন ক্রু দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজে আর কোনো যাত্রী জিম্মি নেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

পরে এয়ার ভাইস মার্শাল মুফিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব ও এপিবিএনসহ সম্মিলিত অভিযানে অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়। অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাই নিরাপদে আছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীর কবলে বিমানের উড়োজাহাজ!

মুফিদুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল অস্ত্রধারী। পরে আমরা অভিযান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা কাজ করেছি।

আরও পড়ুন- ২ কেবিন ক্রু জিম্মি!

এর আগে, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রধারী একজন উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছেন। ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা সবাই বেরিয়ে এলেও দু’জন কেবিন ক্রু ভেতরে আটকা পড়েন। এসময় উড়োজাহাজটি ঘিরে রাখে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ কমান্ডো টিম। সেখানে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সম্মিলিত অভিযান চালানো হয় উড়োজাহাজটিতে।

আরও পড়ুন- সন্ত্রাসীর কবলে বিমানের উড়োজাহাজ (ছবিতে)

উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণের পর সারাবাংলার সঙ্গে কথা হয় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হকের। তিনি জানান, দু’জন কেবিন ক্রু ভেতরে রয়েছেন। কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমরা এখনও খবর পাইনি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ১৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৮৬ জন ছিলেন দুবাইগামী যাত্রী। বাকিরা অভ্যন্তরীণ যাত্রী, যাদের চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল। বিমানটির যাত্রী বহনের ক্ষমতা ১৬২ জন।

সারাবাংলা/আরডি/এটি/টিআর

উড়োজাহাজ ছিনতাই উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শাহ আমানত বিমানবন্দর