শাহ আমানতে কারও গাফিলতি ছিল কিনা, খতিয়ে দেখবে বেবিচক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:৫৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্রসহ অস্ত্রধারীর উড়োজাহাজে ওঠার ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তারপরও কিভাবে গেল, সেটি তদন্তের বিষয়। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখব, কিভাবে গেল। এতে কারও গাফলিতি ছিল কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনার তদন্তে কমিটি করা হবে।
আরও পড়ুন- ৮ মিনিটেই ‘পরাভূত’ উড়োজাহাজ ছিনতাইকারী
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এসময় তিনি শাহ আমানতের উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার সর্বশেষ তথ্য জানান।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণত ছিনতাইকারীরা যাত্রী বা কেবিন ত্রুদের জিম্মি করে। এ ঘটনায় কাউকে জিম্মি করা হয়নি।
আরও পড়ুন- শাহ আমানতে উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ঘটনা প্রসঙ্গে নাঈম হাসান বলেন, ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজ বিজনেস ক্লাসে ৯ জন, ইকোনমিক ক্লাসে চার জন শিশুসহ ১৩৪ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে। উড়োজাহাজে সাত জন ক্রু ছিলেন। তথাকথিত হাইজ্যাকারের কাছে একটি পিস্তল ছিল এবং শরীরে বোমার মতো দেখতে তার জড়ানো ছিলে। বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটি চট্টগ্রামে অবতরণ করে। হাইজ্যাকার মাহাদি তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য দাবি জানায়। তবে সে কোনো যাত্রী বা ক্রুকে জিম্মি করেননি। শেষ মুহূর্তে বিমানের কেবিন ক্রু সাগর ভেতরে ছিলেন, পরে তিনিও বের হয়ে আসেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। তিনি দিকনির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিমান বাহিনী, সেনা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী পদক্ষেপ নেয়।
আরও পড়ুন- কমান্ডো অভিযানে উড়োজাহাজ ‘ছিনতাইকারী’র মৃত্যু
মাত্র ৮ মিনিটে ওই অস্ত্রধারীকে গ্রেফতারের অভিযান শেষ করা হয় জানিয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান বলেন, অভিযান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে, শেষ হয় ৭টা ২৫ মিনিটে। এই ৮ মিনিটেই অভিযান শেষ করা হয়। পরে বিমান থেকে আহত অবস্থায় ছিনতাইকারীকে বের করে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আমানতে ওই অভিযান শেষে রাত পৌনে ৯টায় এক ব্রিফিংয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমানও জানান, বিশেষ প্যারা কমান্ডোর দলের মাত্র ৮ মিনিটের অভিযানেই ‘পরাভূত’ হন ওই অস্ত্রধারী। তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া নিয়ে তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায় কমান্ডো বাহিনী। তাতে তিনি আহত হন, পরে মারা যান।
সারাবাংলা/জেএ/টিআর
উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেবিচক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শাহ আমানত বিমানবন্দর