‘পিস্তলটি খেলনা কিনা তা এখনও নিশ্চিত নই’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারীর হাতে যে পিস্তল ছিলো তা খেলনা কিনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক বলেন, ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা ওই যুবকের হাতে যে পিস্তলটি ছিলো সেটা খেলনা নাকি অস্ত্র তা এখনও নিশ্চিত নই। তদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সিসিটিভি দেখে বোঝা গেছে যে ওই যাত্রীর চেকিংয়ে পিস্তল সাদৃশ্য কোনো বস্তু ধরা পড়েনি। গুলিবিনিময় হয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত নই।’
এসময় বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনা পরবর্তী সময় দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সব কাজ করা হয়েছে। আর বিমানটি জরুরি ল্যান্ড করেনি, চট্টগ্রামে রুটিন ল্যান্ড করেছিলো।’
অভিযানের সময় বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়হীনতা ছিলো কিনা গণমাধ্যমকর্মীদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না কোনো সমনন্বয়হীনতা ছিলো এরকম ঠিক না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর ঘটনা নিয়ে অস্পষ্টতা এখনো কাটেনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, যাত্রী ডোমেস্টিক প্যাসেঞ্জার ছিল।
বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ৫ দিন পর তদন্ত রিপোর্ট দেবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় সিভিল এভিয়েশেন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ, বেবিচক সদস্য (অপারেশন) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান, বিমানের গ্রাহক সেবা বিভাগের পরিচালক মোমিনুল ইসলাম, ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক ফারহাত হাসান জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় কমান্ডোদের অভিযান
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীর কবলে বিমানের উড়োজাহাজ!
সারাবাংলা/জেএ/এমও