Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনে যোগ দিলেন ২ শিক্ষার্থী


১৩ মার্চ ২০১৯ ১২:২৩

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অনশনে রয়েছেন ছয় শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে তারা অনশনে বসেন।

অনশনকারীরা হলেন, ডাকসুতে ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তাওহীদ তানজীম, জগন্নাথ হল সংসদের সদস্য প্রার্থী দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য মণ্ডল, শহীদুল্লাহ হল সংসদে সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মাইনুদ্দিন। তাদের সঙ্গে অনশনে আজ বুধবার (১৩ মার্চ) যোগ দেন ভূগোল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি হোসেন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া তামান্না।

অনিন্দ্য মণ্ডল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আপনারা জানেন ডাকসু নির্বাচনে কী ধরনের ভোট হয়েছে। ছাত্রীদের একটি হলে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে, অন্য আরেকটি হলে ভোট কক্ষের বাইরে তিনটি বক্স পাওয়া গেছে। এই নির্বাচন কোনো মতেই সুষ্ঠু হয়নি। আমাদের অনশন চলবে, যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।’

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে তাওহীদ তানজিম সারাবাংলাকে বলেন, এখন আমাদের দাবি, আমরা পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন করে ডাকসু নির্বাচন চাই। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে সব ভোটার তার নিজের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবে। নতুন করে নির্বাচন হোক, তাতে আমি না জিতলে, ভোট না পেলেও কোনো আফসোস নেই। সুষ্ঠু ভোট হোক, এটাই আমার চাওয়া।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর সোমবার অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। পাশাপাশি ঢাবি’র ১৮টি শিক্ষার্থী হলের হল সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। তবে সোমবার সকাল থেকেই নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মেয়েদের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে সিল মারা ব্যালট ও রোকেয়া হল থেকে ট্রাংক ভর্তি ব্যালট উদ্ধার করা হয়। ওই দুই হলে দীর্ঘ সময় ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষকেও বরখাস্ত করা হয় এ ঘটনায়।

আরও পড়ুন- কারো মিষ্টি কথায় ভুলবো না: অরণী সেমন্তী খান (ভিডিও)

এছাড়া, অন্যান্য হলেও ভোটের লাইনে ধীরগতি, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের অভিযোগে সোমবার দুপুরে ডাকসু নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় বামজোটসহ চার প্যানেল। তারা নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

এদিকে, সোমবার দুপুর ২টায় ১৬টি হল, বিকেল ৫টায় কুয়েত মৈত্রী হল ও সন্ধ্যা ৬টায় রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে ডাকসুর ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ডাকসুর প্রেসিডেন্ট ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনকে প্রায় দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে পেছনে ফেলে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন কোটা আন্দোলনের নেতা ও ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক নুর। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানীসহ ১৩ প্রার্থী জয় পান। আর সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী হন নুরুল হকের প্যানেলের আখতার হোসেন। ফল ঘোষণা হলে তাৎক্ষণিকভাবেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- পুনঃনির্বাচন নিয়ে ভিপি নুরের বক্তব্যে ধোঁয়াশা

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না’ স্লোগানে মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। স্বতন্ত্র ও বাম জোটগুলোও এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন ক্যাম্পাসে এসে ভিপি পদে জয়ী নুরকে অভিনন্দন জানান, তার সঙ্গে কোলাকুলি করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ পাঁচ প্যানেল জানায়,  ফের ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বুধবার উপচার্য কার্যালয়ে অবস্থান নেবেন তারা।

সারাবাংলা/কেকে/এটি

ডাকসু নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর