মঠবাড়িয়ায় আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
২৪ মার্চ ২০১৯ ১৮:২১
মঠবাড়িয়া: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও তার আরও প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তার পক্ষের নেতাদের অভিযোগ, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো. রিয়াজ উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। যদিও রিয়াজ উদ্দিন উল্টো সাকুর বিরুদ্ধেই তার নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ এনেছেন।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দাপে আগামী ৩১ মার্চ মঠবাড়িয়া উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুলিসাখালীতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুর পক্ষে পথসভা শেষে বাজারে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ঝনো। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মো. রিয়াজ উদ্দিন ও পদত্যাগী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৮০ জনের একটি দল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়।
রফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ঘটনাস্থলে এলে তাকে ও তার সঙ্গে থাকা ২০ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে বিকেলে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন পৌরসভায় তার প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার ওপরে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে রিয়াজুল আলমের নেতৃত্বে গুলিসাখালী বাজারে অবস্থিত আমার (আনারস প্রতীক) নির্বাচনি কার্যালয় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ করেন।
জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলার সব স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাত জনকে আটক করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর