Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট: বিএসএমএমইউ-টাটা মেমোরিয়ালের সমঝোতা


২৪ মার্চ ২০১৯ ২০:৪০

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। রক্তের রোগসহ ব্লাডক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর লক্ষে এই সমঝোতা হয়।

রোববার (২৪ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।

বিজ্ঞাপন

স্মারকে স্বাক্ষর করেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান এবং টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের পরিচালক (একাডেমিকস) প্রফেসর এস বানাভালি ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক সুমীত গুজরাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্যান্সার রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় জন্য বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে বিএসএমএমইউতে পূর্ণাঙ্গভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু করা সম্ভব হবে। এতে দেশের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা সহজলভ্যে ও সাশ্রয়ীমূল্যে পাবেন এবং অনেক রোগী অকালে মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ায় অটোলোগাস ও এ্যালোজেনিক পদ্ধতিসহ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিমটি) পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হবে। বিএমটি’র অটোলোগাস চিকিৎসায় দেশের বাইরে প্রায় ২০ লাখ টাকা এবং এ্যালোজেনিক চিকিৎসায় ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা ব্যয় হয়। এই সমঝোতা চুক্তির ফলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের চিকিৎসা ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে রক্তের ক্যান্সার ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বংলাদেশে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ হাজার ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। প্রতি বছর নতুন করে রক্তের বিভিন্ন ক্যান্সারে প্রায় ১ হাজার ২০০ রোগী চিহ্নিত করা হয়। এসব রোগীদের অধিকাংশেরই বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন হয়।

সারাবাংলা/জেএ/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর