বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে ভোটের সংখ্যা বাড়তো: হানিফ
২৪ মার্চ ২০১৯ ২২:০৫
ঢাকা: উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ভোটের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কাউন্সিল হলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ইনোভেশন অ্যন্ড কমার্শিয়ালাইজেশন ইন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন: বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘পশ্চিমা দেশে কোনো নির্বাচন আছে যেখানে ১২ শতাংশ ১৫ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়? ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হলে তাদের ওখানে অনেক ভোট হিসাব করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী সেহেতু এখানে ভোট কাস্টিংটা একটু বেশি হয়। সেই হিসেবে ৪৫ শতাংশ যথেষ্ট। ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি থাকলে একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। তবে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে ভোটের সংখ্যা বাড়তো।’
হানিফ আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা ওঠে। যেমন ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা উঠছে। আমাদের ইলেকশন কমিশন বলেছেন, ইভিএম পদ্ধতি চালু করবেন। আমরা কিন্তু ইভিএম পদ্ধতি চালু করতে বলেছিলাম। কেন বলেছিলাম? বাংলাদেশে যদি গত ১০০ বছরের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়—প্রত্যেকটা নির্বাচনের পরেই পরাজিত প্রার্থী বা পরাজিত দল অভিযোগ করে, ব্যালট পেপার জাল, ব্যালট পেপার চুরি হয়-এই ধরনের অভিযোগ কিন্তু সব সময় উত্থাপন করে আসছে? যদি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হতো এসব অভিযোগ উঠতো না। ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপির দেউলিয়াত্ব ও রাজনৈতিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণেই বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়ার বিরোধিতা করেছে।’
হানিফ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে অংশ নেন নাই কেনো? আপনারা নির্বাচনে অংশ নিলেই তো ভোটের কাস্ট আরও বেড়ে যেত। আপনারা চান অধিক সংখ্যক ভোটার আসুক আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন না। আপনারা একদিকে বলেন আইনের শাসনের কথা, আরেকদিকে যখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে থাকেন আপনারা তখন বলেন তাকে মুক্ত করা হবে। আপনাদের আসলে কথা এবং কাজের মধ্যে মিল নেই। কী চান আপনারা সেটা নিজেরা জানেন না। আইনের শাসন বলবেন আবার বিচার হলে বিচার মানবেন না—এই ধরনের দ্বৈত নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’
এছাড়া আমাদের দেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের মতো নেতিবাচক রাজনৈতিক দল না থাকতো, তাদের কর্মকাণ্ড না থাকলে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পযায়ের নেতারা দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের কারণে কারাগারে এবং দেশের বাইরে পলাতক। নেতৃত্বহীন এই দল। ব্যর্থ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। যার কারণে বিএনপি নামক দলটি আজকে অন্ধকারের গর্তের দিকে চলে গেছে। তারা আজকে রাস্তায় নেই। তারা রাস্তা হারিয়ে অন্ধকার গর্তের দিকে চলে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মুনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আইইবি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই